সুমন,মোংলা(বাগেরহাট)সংবাদদাতা: মোংলা উপজেলার দহ্মিন হলদিবুনিয়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো মহাধুমধামের সাথে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয় দূর্গাউৎসব।
আজ ২০(অক্টোবর)শুক্রবার মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়েই শারদ আনন্দে মেতে উৎছেন সকলে।ঢাক, কাঁসর শংঙ্খধ্বনি উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পূজা মন্ডপ।এই শারদোৎসব শুধু দেবীর আরাধনা নয় এ যেন বাঙালি মেয়ের বাপের বাড়ি ফেরা।তাই শারদ উৎসবকে ঘিরে আলাদা উন্মাদনা দেখা যায় সর্বত্রই। তাই এ বছর কোন আনন্দ ফাঁকা রাখতে চাইছেনা দহ্মিন হলদিবুনিয়া সার্বজনীন পূজা কমিটি।জমকালো আয়োজন সাজানো হয়েছে পুজা মন্ডপ চত্বর।যা পূজাতে ঘুরতে আসা সকলের নজর কাড়ছে।
প্রতি বছরের থেকে এবছর নতুন থিম নিয়ে হাজির পূজা মন্দির কমিটির সদস্যরা।দঃহলদিবুনিয়া পূজা কমিটির সেক্রেটারি বাবু শ্রীপতি ভান্ডারি,সার্বিক তত্বাবধানে বাবু সৌরভ ভান্ডারী,বাবু প্রশেন ভান্ডারী,বাবু অন্ঞ্জন বিশ্বাস,বাবু শিভু ভান্ডারী,বাবু প্রদীপ বিশ্বাস,বাবু অতীন্দ্র বিশ্বাস-আজ মহাষষ্ঠী থেকেই পুজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।আমাদের পূজামন্ডপে এবার রয়েছে নানা অনুষ্ঠান। দেবী দূর্গা মা সেজেছে নতুন সাজে যা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সকল ভক্তগন।নতুন সজ্জাতে মায়ের প্রতিমা যা সবার নজর কাড়বে বলে আশাবাদী আমরা দহ্মিন হলদিবুনিয়া সার্বজনীন পূজা উৎযাপন কমিটির সদস্যরা। পূজা প্যান্ডেল, গেট,স্টেজ, সাউন্ড সিস্টেম,মন্ডপ সজ্জিত করেছি জমকালো ও ভিন্ন আঙ্গিকে যা সকলের চোখে পড়ার মতো।বিভিন্ন আলোক সজ্জায় সজ্জিত করেছি পুরা এরিয়া।মন্ডপের ভিতরে বিভিন্ন লাইটিংসহ কৃত্রিমভাবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করার চিন্তাভাবনাও করেছি আমরা পূজা কমিটির পহ্ম থেকে। যা সকলের নজর কাড়বে বলে আশা করছি।
মন্দির প্রতিষ্ঠাতা বাবু সমীর কুমার ভান্ডারী বলেন আমার দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন এবং আশা ছিলো মোংলা উপজেলার মন্দির গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি মন্দির হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত হবে দঃহলদিবুনিয়া সার্বজনীন পূজা মন্দির।অনেক শ্রম এবং আমাকে আমার গ্রামবাসী সাপোর্ট করেছে। আমি উদ্যেগের সাথে ধাপে ধাপে এগিয়েছি সামনের দিকে।অনেক পরিশ্রমের বিনিময়ে আজ স্বপ্ন বাস্তবে রুপান্তরিত হয়েছে। আজ এক নামে দঃহলদিবুনিয়া সার্বজনীন পূজা মন্দির সকলের কাছে পরিচিতি পেয়েছে।অনেক দূর দূরান্ত হতে মন্দিরে ভক্তগন আসেন।
মন্দির কমিটির সভাপতি বাবু মিহির কুমার ভান্ডারী বলেন আজ থেকে দূর্গাপূজা শুরু।ইতিমধ্যে আমরা সকল প্রস্তুতি আগেই নিয়ে রেখেছি।শুশৃঙ্খলভাবে যাতে পূজা উৎযাপিত হয় সে জন্য আমাদের কমিটি খুবই স্টং এবং সেচ্ছাসেবক গঠন করেছি তারা থাকবেন। উপজেলা প্রশাসন এবং শান্তিশৃঙ্খলা বাহিনী বাংলাদেশ পুলিশ এবং বিভিন্ন মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন ও আমাদের সার্বক্ষণিক সহযোগীতা করবেন বলে জানিয়েছেন।কোন ধরনের অসদাচরণ ও বিশৃঙ্খলতা মন্দির ক্যাম্পাসে করার চেষ্টা করলে কেউ ছাড় পাবে না তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।